Golperjogot

Golperjogot

পাওয়ার তৃপ্তি – অনুগল্প |  Ifrat Jahan Mariyam

পাওয়ার তৃপ্তি

Ifrat Jahan Mariyam  { অনু গল্প }

আজ বাড়ি থেকে পালিয়েছি তাও আবার নিজের ফুফাতো ভাইয়ের সাথেবাড়ির মানুষের কথা মনে হতে খারাপও লাগছে। কিন্তু কি করার ভালোয় ভালোয় আমাদের মেনে নিলে তো পালাতো হতো না। আয়ান ( আমার ফুফাতো ভাই) বলেছিলো পালিয়ে বিয়ে করলে নিলেই এক মাস বা দুই মাস পরে ঠিক মেনে নিবে। প্রথম প্রথম চাই নিহ পালাতে। কিন্তু শেষে উপায় না পেয়ে পালাতে হলো। একবার হারালে তো আর পাওয়া যেতো না। এদিকে বাড়িতে তো আমাদের খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে গেলো। আমি আর আয়ান মোবাইল অফ করে রেখেছি। কাজী অফিসে গিয়ে আমাদের বিয়েটাও হয়ে যায়। আমি আর আয়ান ওর একটা বন্ধুর বাসায় উঠেছি খারাপও লাগছে আবার খুশিও লাগছে।

রবিনঃ আয়ান দেখ তুই কোনো চিন্তা করিস না। দেখবি সবাই তোদের মেনে নিবে ১, ২ সপ্তাহ যাক দেখবি পাগল হয়ে যাবে তোদের জন্য।আয়ানঃ তাই যেনো হয় দোস্ত। আমার খুব টেনশন হচ্ছে। সিনহার জন্য বেশি ও কি থাকতে পারবে এভাবে।সিয়ামঃ আরে চিন্তা নিস না। পারবে থাকতে। তুই যা রুমে। দেখ কি করে তোর বউ। তুই কাছে থাকলে ওর আর কোনো ভয় থাকবে না।

রবিনঃ হ্যাঁ আয়ান।

“! আয়ান রুমে গিয়ে দেখে সিনহা( আমি) চুপচাপ বসে আছে। আয়ান গিয়ে সিনহার কাঁধে হাত রাখে!”

সিনহাঃ ছাঁড় তো।আয়ানঃ ওমা আমার বিয়ে করা বউ ছেঁড়ে দিবো কেন হ্যাঁ?সিনহাঃ কচুর বউ আমি তোর বউ না। কেনযে তোর সাথে আসতে গেলাম। কচুর ছেলে হইছে। সবাইরে মানাইতে পারে না।

আয়ানঃ কি করবো বল? একেকজন যে পাষাণ। চেষ্টা কি কম করেছি?

সিনহাঃ এখন বসে বসে আঙুল চুষ।আয়ানঃ আঙুল চুষবো কেনো? বউকে আদর করবো।সিনহাঃ একদম ঢঙ করবি না।

“!আয়ান সিনহাকে এক টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে। সিনহা চোখ বন্ধ করে নেয়। অজানা এক অনুভুতি জায়গা নেয়।”” জামাই লাগি তোমার সিনহা রাণী। তুই তুকারি করা যাবে না এখন আর। ( সিনহার ঘাড়ে চুমু দেয়)

” দদদদেখ ছাঁড় বলছি আমার কেমন লাগছে।( চোখ বন্ধ করে)

“! আয়ান সিনহার কথাকে পাত্তা না দিয়ে সিনহাকে টান দিয়ে খাটে ফেলে ওর উপর উঠে পড়ে।”

“” আ……(সিনহা চিৎকার করতে যায়)

“” হুসসসসস জামাই লাগি। চিল্লাচিল্লি করলে বলবে আমি তোমারে কিডনাপ করে আনছি সোনা।

” সর তুই আমার উপর থেকে, কচু।” তুই ই বলবা তুমি।” তোরে তুই বলেই তো আসছি। তু…..

“! সিনহা আর কিছু বলতে পারে নিহ আয়না সিনহার ঠোঁট দখন করে নেয়। সিনহা ছাঁড়ার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে। আয়ানের সাথে না পেরে শান্ত হয়ে যায়। আয়ানের কাজ শেষ হলে আয়ান সিনহার দিকে তাকিয়ে থাকে…

” আর তুই বলবা তো শুধু কিস হবে।( চোখ টিপ দিয়ে)। ডিস্টার্ব করবা না ঘুমাবো রাতদিন বিশ্রাম নিতে পারিনিহ।

” ঘুমাবিই এনা আমার উপর থেকে সর।

“! আয়ান সিনহার ঠোঁটের দিকে যেতে নেয়।”

” সরি সরি ঘুমাও আমার উপর থেকে সরো।

” নাহ সোনা তোমার বুকেই ঘুমাবো।

!”৷আর কিছু না বলে আয়ান সিনহার বুকেই ঘুমিয়ে পড়লো। সিনহাও কি করবে শুয়ে পড়লো। এক ঘুমে তাদের ভোর হলো।” আয়ান ফোন অন করে দেখে তার মা, বাবা, ভাইয়া, মামা,, মামীর অনেকগুলো ফোন। সিনহার ফোনেরও একই অবস্থা। ”

” ফোন করনা ওনাদের চিন্তা করছে ওনারা। (সিনহা)” আবার করুক তখন ধরবো।(আয়ান)

“!বলতে না বলতেই আয়ানের ফোনে ওর মায়ের ফোন এলো!”

” বাবা তুই কোথায়। কোথায় চলে গেলি। সিনহাও কি তোর সাথে। এমন কেনো করলি?” আমি আছি এক জায়গায়। সিনহাও আমার সাথে আছে। আমরা বিয়ে করে নিয়েছি। আমাদের কথা চিন্তা করতে হবে না।” কি বলছিস তুই?” যা বলছি ঠিক বলছি। আর ফোন দিবে না তোমরা বায়।

“! আয়ান সিনহার দিকে তাকিয়ে দেখে সিনহার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে!”

” এই সিনহা কাঁদছিস কেনো?

“…..”তোমাদের মেয়েদের একটাই সমস্যা খালি কাঁদতে পারো। ন্যাকা কান্না। ( মজা করে)

” ফাজলামি করিস তুই, ফাজলামি।( আয়ানের বুকে ঘুষি দিয়ে)

“! আয়ান সিনহাকে বুকে জড়িয়ে নেয়।আরেহ পাগলী এমন করিস কেনো। তারা খুব তাড়াতাড়িই আমাদের মেনে নিবে দেখিস!”

২ মাস পর…….

” সিনহা আমাকে এ গ্লাস পানি দেতো মা।( আয়ানের বাবা)

” জি বাবা দিচ্ছি।

Short Story

“! রান্নাঘরে সিনহা, আয়ানের বড় ভাবী, আর আয়ানের মা রান্নায় ব্যাস্ত। আজ সিনহার বাবা বাড়ির থেকে আসবে। হ্যাঁ আমাদের সবাই মেনে নিয়েছে। আমাদের আবার তারা বিয়ে দিয়েছেন তাদের সামনে। মেহমান আসে খাওয়া দাওয়া হয় তারা চলেও যায়। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে সিনহা রাতে শুয়ে থাকে!”

” সিনহা…” হুম বলো।” আজ আমি অনেক খুশি জানোতো। তোমাকে একান্ত নিজের করে পেয়েছি। সবাই মেনে নিয়েছে। কি আনন্দের বিষয় তাই না?

“! সিনহা শোয়া থেকে উঠে এসে আয়ানকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে। আায়ানের গালে একটা চুমু দেয়!”

” হ্যাঁগো জামাই। অনেক আনন্দের। অনেক হ্যাপি আমিও। এবার আসুন ঘুমান।” ইশশ, ঘুমালে তোমারে আদর করবে কে?হুহ?

“!সিনহা চোখ গরম করে তাকায়। আয়ান ভেংচি কেটে সিনহাকে জড়িয়ে শুয়ে পড়ে। সিনহার ঠোঁট দখল করে নেয়। সিনহাও রেসপন্স করে। আয়ান ঠোঁট থেকে নেমে এসে সিনহার গলায় বুকে চুমু দেয় তারপর সিনহার বুকে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এ যেন এক পরম শান্তির জায়গা।

” আয়ান তোমাকে পাওয়ার তৃপ্তি আমাকে পরিপূর্ণ করেছে।💜( মনে মনে)

সমাপ্ত

 

Writer :- Ifrat Jahan Mariyam

Leave a Comment