Love Never Ended
ইলোরা জাহান ঊর্মি ( Part – 16 )
দু’দিন পর আজ আভাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় আনা হয়েছে। সাথে রুহি আর রাইফও এসেছে। রাইফ এই পর্যন্ত অনেকবার আভার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রতিবারই আভা তাকে এড়িয়ে গেছে। রুহি নিজেও আভাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে কিন্তু আভার শুধু এক কথা,রাইফ তাকে অবিশ্বাস করলো কেন? রাইফের অবিশ্বাসের কারণেই সে এতো কষ্ট পেয়েছে।
যদি ভালোই বেসে থাকে তাহলে অবিশ্বাস কেন করলো? শুধু চোখের দেখায় এক নিমিষেই তাকে অবিশ্বাস করে ফেললো। এই কী ভালোবাসা? আভার এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারে নি রুহি। হতাশ হয়ে দীর্ঘশ্বাস চেপে নিয়েছে। রাইফও অদূরে দাঁড়িয়ে আহত চোখে তাকিয়ে আভার অভিযোগ শুনে গেছে।
{ Love Never Ended Emotional Sad Love Story }
শিরীন বেগমকে পরে সব জানিয়েছে সামিদ। এসব শুনেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। সামিদ আর হিয়া মিলে তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে শান্ত করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে গিয়ে রুহি রাইফকে দেখে সে চিনতে পারে নি। কারণ এর আগে তিনি ওদেরকে দেখেন নি।
সামিদের মুখে যখন শুনলেন এটাই রাইফ তখন তিনি অবাক হওয়ার সাথে সাথে চোখের পানি ছেড়ে দিয়েছিলেন। এই একটা ছেলের জন্য তার মেয়ে আড়ালে কতোটা কষ্ট পেয়েছে সেটা তার অজানা নয়।
আভা এখন কিছুটা সুস্থ। তবে হাতের ব্যথা সম্পূর্ণ কমতে একটু সময় লাগবে। সামিদ আর হিয়া জানিয়ে দিয়েছে তাদের বিয়ে নিয়ে ঝামেলা বেঁধেছে। তার সাথে এটাও জানিয়েছে যে হিয়া এখন থেকে সামিদের সাথেই থাকবে। আভা এতে একটুও অবাক হয় নি। কারণ সে পূর্বেই আন্দাজ করেছিল এমন কিছুই ঘটবে।
হিয়াকে তার বাবা বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে শুনে আভার খারাপ লেগেছে। কিন্তু হিয়া এখন থেকে তাদের সাথে থাকবে শুনে সে খুশিও হয়েছে। বাসায় মন খুলে গল্প করার মতো একজনকে পাশে পাবে সে। তবে সামিদের বিয়ের কথা শুনে শিরীন বেগম খুব অবাক হয়েছেন। কারণ তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
সামিদ অপরাধীর মতো শিরীন বেগমের কাছে ক্ষমা চেয়েছে এতো কিছু গোপন করার জন্য। শিরীন বেগম হাসিমুখে হিয়াকে নিজের ছেলের বউয়ের মতো ঘরে তুলেছেন। আভা নিজের বিছানায় আধশোয়া হয়ে বসে আছে। আর পাশেই হিয়া বসে বসে তার সাথে গল্প করছে। রুহি এসে দরজার সামনে দাঁড়াতেই আভা হাসিমুখে বলল,
আভা: বুবু দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছো কেন? ভেতরে এসো।
রুহি ভেতরে যেতেই হিয়া আভার পাশ থেকে সরে এসে রুহির উদ্দেশ্যে বলল,
হিয়া: আপু আপনি বসুন,আভার সাথে গল্প করুন। আমি একটু আসছি।
কথাটা বলেই হিয়া মিষ্টি হেসে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। রুহি গিয়ে আভার পাশে বসলো। মুচকি হেসে আভাকে প্রশ্ন করলো,
রুহি: হাতে কী বেশি ব্যথা করছে এখনো?
আভা: না,এখন আগের চেয়ে একটু কম।
{ Heart Touching Love Story Bangla }
রুহি: চিন্তা করো না। ঠিকমতো ঔষধ খেলেই সম্পূর্ণ কমে যাবে। তোমার মা কিন্তু খুব ভালো মানুষ। এমন পরিস্থিতিতেও আমাদের আপ্যায়নের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বারণ করলাম তা-ও শুনলো না।
আভা মুচকি হেসে বলল,
আভা: আম্মু এমনই। বাসায় কোনো মেহমান আসলে আম্মু খুব খুশি হয়। আমাদের তো তেমন কেউই নেই তাই সামি মাঝে মাঝে ওর বন্ধুদের নিয়ে আসে। তাছাড়া তোমাদের কথা তো শুধু শুনেছে,কখনো দেখে নি। তাই হয়তো একটু বেশি খুশি হয়েছে।
রুহি: তুমি বলেছিলে আমাদের কথা?
আভা: না,সামি বলেছিল বাবার মৃত্যুর পর। তবে তার আগেও আম্মু আমাকে সন্দেহ করতো কিন্তু কোনো কারণ খুঁজে পেতো না। কারণ আমি কখনো আম্মুর সাথে কোনো কথা শেয়ার করতাম না। শুধু সামির সাথে শেয়ার করেছিলাম। আর আম্মু সামিদের মুখে সবকিছু শুনেই শিয়্যর হয়েছে।
রুহি: আন্টি সন্দেহ করতেন কেন?
আভা: সবসময় আমার মন খারাপ দেখে। ঐ,ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলে যাওয়ার পর……………….।
কথা শেষ না করেই আভা থেমে গেল। অতীতের কথা মনে পড়তেই তার মুখটা মলিন হয়ে গেল। রুহি সেটা বুঝতে পেরে আভার বাঁ হাতটা নিজের দু হাতের মুঠোয় নিয়ে অপরাধীর মতো প্রশ্ন করলো,
রুহি: তুমি কী আমার উপর রেগে আছো?
আভা: এসব তুমি কী বলছো বুবু? আমি তোমার সাথে রেগে থাকবো কেন?
রুহি: চার বছর পর দেখা হয়েও সেদিন আমি তোমার সাথে কী খারাপ ব্যবহারটাই না করেছি। আমি জানি তুমি খুব কষ্ট পেয়েছো আমার কথায়।
আভা মুচকি হেসে রুহির হাতের উপর তার ডান হাতটা আলতো করে রেখে বলল,
আভা: তুমি যে এখন আবার আমার সাথে সেই আগের মতো কথা বলছো তাতেই আমি ওসব ভুলে গেছি। আমি জানি তুমি এখনো আমাকে আগের মতোই ভালোবাসো।
রুহি মুখে হাসি টেনে আভার গালে হাত দিয়ে আদর করে বলল,
রুহি: এতো দিন তোমার মুখের বুবু ডাকটাকে খুব মিস করতাম আমি। তোমার প্রতি আমার রাগ জমা হয়েছিল ভাইয়ের অবস্থা দেখে। ছেলেটা চারটা বছর আমার চোখের সামনে কীভাবে দিন কাটিয়েছে তা দেখতে দেখতে আমি তোমার উপর বিরক্ত হয়ে পড়েছিলাম। যেই রাইফ সবসময় সবার সাথে দুষ্টুমি ফাজলামি করে,বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে সময় কাটাতো সেই রাইফ শুধুমাত্র তোমার অভাবে নিজেকে সবকিছুর থেকে গুটিয়ে নিয়েছে।
তুমি চলে যাওয়ার পর থেকেই ও একঘেয়ে জীবন কাটাতে শুরু করেছে। প্রথম প্রথম সব জায়গায় তোমাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছে। নিরাশ হয়ে তারপর থেকে প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকেই বের হতো না,বাইরের কারো সাথে মিশতো না,ঠিকমতো কথা বলতো না,হাসতো না। সারাক্ষণ বাসায় আটকে থাকতো। মাঝে মাঝে আমাকে জড়িয়ে ধরে খুব কান্না করতো।
{ Sad Love Story In Bangla }
আমি অবাক হতাম এটা ভেবে যে এতো শক্ত একটা ছেলে কীভাবে এতোটা ভেঙে পড়তে পারে! চার বছর ধরে আমার ভাইটা হাসতে ভুলে গেছে। অনেক চেষ্টা করেছি ওকে স্বাভাবিক লাইফে ফেরানোর। কিন্তু কোনো লাভ হয় নি। ইয়ানার জন্মের পর ও কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।
সবসময় ইয়ানার সাথে সময় কাটাতে শুরু করেছে। এখনো ও শুধুমাত্র ইয়ানার সাথেই হাসিমুখে কথা বলে। আসিফ,আমি আর রওশন মিলে ওকে বুঝাতে বুঝাতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।
কোম্পানিতে জয়েন করানোর অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু ও রাজিই হয় নি। রওশন সিঙ্গাপুর যাবে বলে অনেক কষ্টে বুঝিয়ে আমরা ওকে রাজি করিয়ে কোম্পানির এমডি পদে জয়েন করিয়েছি। ভাগ্যের কী খেলা! রাইফ জয়েন করার সঙ্গে সঙ্গেই তুমি চলে এলে।
তোমার সাথে দেখা হবে বলেই হয়তো আল্লাহ রাইফকে কোম্পানিতে জয়েন করার জন্য রাজি করিয়ে দিয়েছেন। আমার ভাইটাকে কষ্ট পেতে দেখতে আমার কতোটা খারাপ লাগে তোমাকে বুঝাতে পারবো না আভা।
এতোক্ষণে আভা আর রুহি দুজনের চোখেই শ্রবণের ঢল নেমে এসেছে। কিছুক্ষণ দু’জনই নীরবতা পালন করলো। তারপর আভা নীরবতা ভেঙে শান্ত স্বরে বলল,
আভা: তুমি তো সবই শুনেছো বুবু। এই চার বছরে আমার প্রত্যেকটা দিন কতোটা কষ্টে কেটেছে সেটা আমি নিজে জানি। বাবা মায়ের প্রশ্নের মুখে পড়ার ভয়ে আড়ালে চোখের পানি ফেলেছি। আর সবার সামনে হাসিখুশি থাকার অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু পারি নি। বাবার মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরতে হয়েছে আমাকে। একদিকে নিজের পড়াশোনা আরেকদিকে কাজের চাপ।
অতো চাপের মধ্যেও দিনশেষে একটা মুখই সামনে ভেসে উঠতো। এক মুহুর্তের জন্যও আমি ওকে ভুলতে পারি নি। ঢাকায় এসে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে যেদিন ওকে দেখেছিলাম সেদিন যে আমার কতোটা শান্তি লেগেছিল তা তোমাকে বুঝাতে পারবো না বুবু। কিন্তু ও যে এতো বছর পর আমাকে সামনে পেয়েও চোখের দেখায় এভাবে ভুল বুঝবে এটা আমি ভাবতেও পারি নি।
যে রাইফ কোনোদিনও আমার সাথে একটু রেগে কথা বলতো না সে একটা ভুল ধারণার জন্য আমার উপর রাগ করে এড়িয়ে চলেছে আমাকে। ওর এমন পরিবর্তনে ওকে আমার সম্পূর্ন অপরিচিত মনে হয়। কিছুতেই যেন আগের রাইফের সাথে এখনকার রাইফের কোনো মিল খুঁজে পাচ্ছি না আমি।
আভা মাথা নীচু করে শান্ত স্বরে কথাগুলো বলা শেষ করে মাথাটা তুলে সামনে তাকিয়েই চুপ হয়ে গেল। তার দৃষ্টি আটকে গেল দরজার সামনে আহত মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটির চোখে। অশ্রুসিক্ত চোখ জোড়া আরো ছলছল করে উঠলো। পরক্ষণেই সে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলো। রুহি আভার দৃষ্টি লক্ষ্য করে পেছন ফিরে দরজার দিকে তাকিয়েই ছোট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। তারপর মুখে এক ফালি হাসি টেনে বলল,
রুহি: দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছিস কেন ভাই? ভেতরে আয়।
রাইফ শান্ত দৃষ্টিতে আভার দিকে তাকালো। আভাও তখনই রাইফের দিকে একপলক তাকাতেই দুজনের দৃষ্টি বিনিময় হয়ে গেল। রাইফ গম্ভীর কণ্ঠে রুহিকে উদ্দেশ্য করে বলল,
রাইফ: আমাকে এখনই অফিসে যেতে হবে বুবু। ইম্পর্ট্যান্ট একটা মিটিং আছে। আসিফ বারবার ফোন করছে।
রুহি: আচ্ছা চল। তুই অফিসের সামনে নেমে গেলে আমি ইয়ানাকে নিয়ে বাড়ি চলে যাবো।
Also, Read Those Heart- Touching Come Back Sad Love Story
বলতে বলতে রুহি উঠে দাঁড়ালো। আভার মাথায় হাত বুলিয়ে বিদায় নিয়ে রাইফকে পাশ কাটিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। রাইফ ঘুরে দাঁড়িয়ে চলে যাবার জন্য পা বাড়াতেই পেছন থেকে আভা কিছুটা উঁচু স্বরে বলে উঠলো,
আভা: কাল থেকে আমি অফিসে যাবো।
আভার কথায় রাইফ দাঁড়িয়ে পড়লো। পুনরায় আভার দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে শান্ত ভঙ্গিতে বলল,
রাইফ: এখনো তোমার হাতের ব্যথাটা সারেনি। আরো দু’দিন রেস্ট নিয়ে তারপর যেও।
আভা: আমি এখন অনেক সুস্থ আছি। হাতে হালকা একটু ব্যথা আছে। তাতে কিছু হবে না। অকারণে কাজে ফাঁকি দিতে চাই না আমি।
রাইফ: ফাঁকি দিবে কোথায়? আমি তো তোমাকে ছুটি দিয়েছি।
আভা: লাগবে না ছুটি। এটুকু ব্যথায় কাতর হয়ে যাবো না। এর থেকে অনেক বড় ব্যথা সহ্য করেছি আমি। তার কাছে এটুকু ব্যথা কিছুই না।
আভার কথাটা রাইফের বুকে গিয়ে লাগলো। তবু আভা নিজের কথায় অনড় দেখে রাইফ আর না করতে পারলো না। তবে যাওয়ার আগে আভাকে শক্ত মুখে বলে গেল আভা যেন সামিদকে ছাড়া একা বাসা থেকে বের না হয়। আভাও মাথা নাড়িয়ে রাইফকে আস্বস্ত করলো।
{ Love Story In Bangla }
আসিফ: আ’ম শিওর জোহানই ওর ভাড়া করা গুন্ডা দিয়ে এই কাজ করিয়েছে।
রাইফ নিজের কেবিনে চিন্তিত মুখে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসেছিল। সামনের চেয়ারে বসা আসিফের কথায় রাইফ একটু নড়েচড়ে বসলো। আসিফের দিকে শান্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল,
রাইফ: সেটা আমার কাছেও স্পষ্ট। ও ছাড়া আর কে আমার পেছনে লাগতে আসবে? ওর ব্যবস্থা তো আমি করবোই। কিন্তু এখন চিন্তা হচ্ছে আভাকে নিয়ে। আমি সেদিনই বুঝতে পেরেছি জোহানের নজর আভার উপরও পড়েছে। ও যদি কোনোভাবে আভার কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে?
অনিশ্চিত বিপদের আশঙ্কায় রাইফের মনটা খচখচ করছে। আসিফ ভাবুক ভঙ্গিতে কিছুক্ষণ চুপ থেকে হঠাৎ উৎফুল্ল হয়ে বলে উঠলো,
আসিফ: আরে আভাকে নিয়ে এতো ভাবাভাবির কী আছে? এখন তো তোদের দুজনের ভুল ধারণা ভেঙে গেছে।
রাইফ: হ্যাঁ,তো?
আসিফ: বিয়ে করে নে।
আসিফ সহজভাবেই কথাটা বলে ফেললো। রাইফ কিছুটা অবাক হয়ে আসিফের দিকে ভ্রূকুটি করে তাকিয়ে বলল,
রাইফ: আভা এখনো আমার সাথে ঠিকমতো কথাই বলছে না আর তুই বলছিস বিয়ের কথা!
আসিফ কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলল,
আসিফ: তোর মাথায় এই সামান্য ব্যাপারটা আসছে না যে বিয়ের কথা শুনলে ও কিছুতেই না বলতে পারবে না? এতো বছর পর নিজের ভালোবাসার মানুষটার সাথে বিয়ের কথা শুনলে ও আরো খুশি হবে। তখন দেখবি ওর সব রাগ অভিমান নিমিষেই উধাও হয়ে যাবে।
রাইফ: আমি চাই ও আগে সব রাগ অভিমান ভুলে আমার সাথে আবার আগের মতো কথা বলবে তারপর বিয়ের কথা বলবো।
আসিফ এবারো বিরক্ত হয়ে রাইফের দিকে শক্ত মুখ করে তাকিয়ে বলল,
Also, Visit Those Romantic Love Story Article
আসিফ: আরে ভাই তুই নিজেই তো এইমাত্র বললি জোহান আভার ক্ষতি করতে পারে। দেখ,ও কিন্তু ডেঞ্জারাস লোক। পুলিশকে ঘুষ খাইয়ে মুখ বন্ধ রেখে যা ইচ্ছে করতে পারে। তুই যদি এখন আভাকে বিয়ে করিস তাহলে আভা তোর বাসায় একদম নিরাপদে থাকবে। তারপর আমরা জোহানের একটা ব্যবস্থা করবো।
রাইফ: কথাটা অবশ্য তুই মন্দ বলিস নি। ওই জোহানকে তো আমি ছাড়বোই না। যে করেই হোক ওর এই অসাধু মুখ সবার সামনে এনে ওকে আইনের হাতে তুলে দেবোই। ওর অপরাধের শাস্তি তো ওকে পেতেই হবে।
কথাগুলো বলতে বলতে রাইফের চোখ মুখ কঠিন হয়ে গেল। জোহানের ষড়যন্ত্রের কারণে আজ তাকে বাঁচাতে গিয়ে আভা গুলিবিদ্ধ হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। ওকে তো শাস্তি পেতেই হবে।
Click Here For Next Part চলবে…
Join Our { FB PAGE } and { FB GROUP } For Every Single Minutes Update Of { Golper Jogot- Largest Story Platform }. Also Please Share Our Story On Your Social Media Platform and with Your Friends.