Khalato Bon Jokhon Crush
Amrin Talokder { Short Story }
জারাঃ- ভাইয়া তুই আমার চুল টানছিস কেন? তুই আমাদের বাসায় এসেই বদমাইশি শুরু করে দিলি? ব্যাথা পাচ্ছি তো?
ইমনঃ- তোর চুল টানতে আমার ভালো লাগে তাই টানি।
জারাঃ- কি…..? আমার চুল টানতে তোর ভালো লাগে? ওয়েট কর আমি খালামনির কাছে নালিশ কারছি।
ইমনঃ- (গান) পাস বো আনে লাগে জারা জারা।নজরে চুরানে লাগে জারা জারা।দিল পে বো ছানে লাগে জারা জারা।আপনা বানানে লাগে জারা জারা।জারা জারা জারা।
জারাঃ- তোর সাহস তো মন্দ না! আমাকে জরিয়ে ধরে, আবার আমার নাম নিয়ে গান গাইছিস? বাত্তামিজ লারকা ছাড়া আমাকে। (ধমক দিয়ে)
ইমনঃ- উহু ছাড়বো না। একবার যখন ধরেছি আর কোনো দিন ছাড়বো না। তোকে সারাজীবন আমার বুকের মাঝে লুকিয়ে রাখবো। ঐ আমি তোর থেকে বয়সে অনেকটা বড়, আর তুই কি না আমাকে তুই তুই করে সম্মোধন করিছ? বেয়াদব লারকি। আজ থেকে তুই আমাকে তুমি করে বলবি।
জারাঃ- দেখ ভাইয়া ভালো হচ্ছে না কিন্তু। ছেড়ে দে আমাকে। কেউ এসে আমাদের জরানো অবস্থায় দেখলে খুব খারাপ হবে। ছেড়ে দে বলছি।
ইমনঃ- ছেড়ে দিতে পারি একটা শর্তে।
জারাঃ- কি শর্ত?
ইমনঃ- আগে বল তুই আমাকে ভালবাসবি।
জারাঃ- আর কতো বার বলবো, আমি তোকে ভালবাসি না। তুই আমার থেকে মাত্র ১বছরের বড়। তাই তোকে তুই তুই বলি। তুমি বলতে পারবো না।
ইমনঃ- তাহলে তোকে ছাড়বো না।
জারাঃ- আরে খালামনি তুমি? কখন এলে।
ইমনঃ- জারার মুখে খালামনি ডাকটা শুনে জারাকে ছেড়ে দিলাম। জারা আমাকে একটা ভেংচি কেটে দৌড় দিলো। আবার পিছনে ফিরে বলল
জারাঃ-( হি হি হি) আমি যদি মিথ্যা না বলতাম তাহলে তুমি আমাকে ছাড়তে না। ইমন ভাইয়া শোনো তোমার জন্য টেবিলের উপর একটা কাগজ রাখা আছে। আমি যাই গিয়ে খালামনির সাথে দেখা করে আসি।
ইমনঃ- কাজ রাখা মানে? অনেক কৌতুক নিয়ে টেবিলের দিকে এগিয়ে এসে কাগজটা হাতে নিয়ে খুললাম।
Related Story
- ভিলেন
- বেপরোয়া ভালোবাসা
- অপূর্ণ ভালোবাসা
- সিনিয়র গার্লফ্রেন্ড
- বেকার ছেলে
- মি. ফুচকাওয়ালা
- ভালোবাসি দুজনে
- লাভ নেভার এন্ডেড
- রাগী স্যার যখন ডেভিল হাসবেন্ড
প্রিয় ইমন,গতদুই বছর যাবত তুমি আমাকে বলে আসছো ভালবাসি ভালবাসি। কিন্তু তোমার প্রপোজ আমি একসেপ্ট করি নি কেনো জানো? কারন এইচ এস সিতে A+ পাওয়ার জন্য। তুমি জানো আমি খেলা পড়ায় একবছর পিছিয়ে আছি। এ নিয়ে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। তাই নিজের কাছে নিজে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম এইচ এস সি তে ভালো রেজাল্ট করবো। তোমার সাথে সম্পর্কে ঝড়ালে হয় তো আজ আমি এতো ভালো রেজাল্ট করতাম না। বিশেষ করে তোমার জন্যও আমি ভালো ভাবে পরেছি। তুমি ভার্সিটির স্টুডেন্ট, সেখানে আমি যদি হই ফেলটুস ছাত্রী, তাহলে তোমার সাথে যায় না আমার। এখন আমিও ভার্সিটিতে ভর্তি হবো। তোমার ভার্সিটিতে। দুজন সমকক্ষ না হলে হবে কি করে? তাই এখন আমি তোমাকে বলতে চাই, আমিও তোমাকে ভালবাসি। অনেক বেশি ভালবাসি।ইতি,তোমার জারা।
ইমনঃ- ইয়া হু। জারা তুই শুধু আমার।
জারাঃ- খালামনি কেমন আছো তুমি?
সাফিয়াঃ- ভালো আছি মা। তুই A+ পেয়েছিস। তোর মা আমাকে ফোন করে বললো। তাই আমি আর ইমন চলে আসলাম।
জারাঃ- ভালো করছো। আজ তোমরা যেতে পারবে না। আমাদের বাসায় থাকবে।
ইমনঃ- সেটা তোকে আর বলে দিতে হবে না। আজ আমরা থাকছি। খালামনি কই তুমি?
সাহিদাঃ- আমি রান্না ঘরে। কিছু বলবি বাবা?
ইমনঃ- হ্যা খালামনি বলবো তো। কি রান্না করছো?
সাহিদাঃ- বিরিয়ানি।
ইমনঃ- ওয়াও বিরিয়ানি তো আমার ফেভারিট।
সাহিদাঃ- জানি তো। জারাও ফেভারিট। এখন বল কি বলবি?
ইমনঃ- আসলে… জারাকে আমাদের সাথে নিয়ে যেতে চাই। আমাদের বাসায় কয়েক দিন বেরিয়ে আসবে।
সাহিদাঃ- এই কথা? আচ্ছা ঠিক আছে। নিয়ে যাস।
ইমনঃ- বিরবির করে বললাম, জারাকে তো সারাজীবনের জন্য আমাদের বাসায় নিয়ে যেতে চাই।
সাহিদাঃ- কিছু বললি?
ইমনঃ- না কিছু না, তুমি ভালো করে রান্না করো।খালামনিদের বাসায় একদিন কাটিয়ে জারাকে নিয়ে আমাদের বাসায় চলে আসলাম। আমি তো হেব্বি খুশি, জারা আমার ভালবাসা গ্রহন করেছে।
জারাঃ- ভাইয়া কি করছিস?
ইমনঃ- এই বেয়াদব, আমি তোমার কোন জন্মের ভাই লাগি? যদি আর একবার ভাইয়া বলে ডাকিস তাহলে তোকে মেরে মুখ ভেঙে দিবো।
জারাঃ- তোমার সাথে সম্পর্ক হতে না হতেই তুমি আমাকে শাসন করা শুরু করলে? যাও তোমার সাথে ব্রেকআপ। (কাঁদতে কাঁদতে)
ইমনঃ- ঐ ঐ প্লিজ আমার সাথে ব্রেকআপ করিস না। তুমি যদি আমার সাথে ব্রেকআপ করিস তাহলে আমি স্ট্রোক করবো। কাঁদিস না প্লিজ, তোমার কান্না আমার সহ্য হয় না।
জারাঃ- আমি তোকে স্ট্রোক করতে দেখতে চাই। তারাতারি স্ট্রোক কর।
ইমনঃ- হার্ট লেশ গার্লফ্রেন্ড। ব্রোকেন মাই হার্ট। দেখ নিজ চোখে আমি স্ট্রোক করছি। কেঁদেও কিন্তু কুল পাবি না।
জারাঃ- তারাতাড়ি কর সময় নেই।
ইমনঃ- তুই একটা শাঁখচুন্নি।
জারাঃ- কি….? আমি শাঁখচুন্নি? এই মাত্র তোর হার্ট ব্রোকেন হয়েছে না? ওয়েট কর আমি তোর হার্ট এবার টেনে বের করছি।
ইমনঃ- জারা আমার দিকে তেরে এসেছে। আমিও জারাকে জরিয়ে ধরে বিছানায় পরে গেলাম। জারার উপরে আমি, জারার হাট দুটো আমার দুই হাত দিয়ে চেপে ধরলাম।—-খুব তো বলেছিলি আমার হার্ট বের করে নিবি। এবার আমি তোর হার্ট বের করে নেই?
জারাঃ- প্লিজ ইমন আমাকে ছেড়ে দেও। আমার উপর থেকে ওঠো। আমার খুব অস্বস্তি হচ্ছে।
ইমনঃ- উঠবো একটা শর্তে
জারাঃ- আমি তোর সব শর্ত মানতে রাজি প্রমিজ। এবার উঠে পর।
ইমনঃ- আমাকে আর তুই বলবি না। তুমি বলবি।
জারাঃ- ঠিক আছে। তবে আমাকেও তোমার তুমি বলতে হবে।
ইমনঃ- Ok, Done.আমি জারার কপলে একটা চুমু দিলাম। জারা লজ্জা পেয়ে দৌড়ে পালালো।
জারাঃ- খালামনি তোমাদের বাসায় এসেছি বেশ কয়েক দিন হয়ে গেছে। এবার তোমার বাদর ছেলেকে বলো আমাকে বাসায় দিয়ে আসতে।
সাফিয়াঃ- আজকেই চলে যাবি?
জারাঃ- হ্যা।
সাফিয়াঃ- ইমন, ইমন কোথায় তুই?
ইমনঃ- জি, আম্মু বলো, কিছু বলবা?
সাফিয়াঃ- জারাকে ওদের বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসো।
ইমনঃ- আজই যাবি? না গেলে হয় না? আর কয়েকটা দিন থেকে প্লিজ
জারাঃ- মা যেতে বলেছে। বাবা ব্যবসার কাছে কয়েক দিনের জন্য বের হবে। মা বাসায় একা একা থাকতে পারবে না। তাই যেতে হচ্ছে।
ইমনঃ- তাহলে কি আর করার চল তোকে এগিয়ে দিয়ে আসি।ভার্সিটিতে এডমিশন চেষ্টা দিয়ে চান্স পেয়ে ভার্সিটিতে ভর্তি হলো জারা। এখন আমি আর জারা একই ভার্সিটিতে পড়ি। আমি দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল দিয়ে তৃতীয় বর্ষে উন্নতি হলাম। জারা প্রথম বর্ষে। ভাবতে ভালো লাগছে এখন থেকে প্রতি দিন জারার সাথে দেখা হবে। আমাদের মাঝে সম্পর্কটা বেশ ভালোই চলছে। জারার ছোট ছোট আবদার গুলো মিটাতে আমার খুব ভালো লাগে। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, আমি প্রতিনিয়ত জারাকে কিছু না কিছু বলে ক্ষেপিয়ে যাই। আর জারা আমার সাথে দিনের মধ্যে ১০থেকে ১২বার ব্রেকআপ করে। তবে আমি ওর রাগ ভাঙাতে যাই না। ও নিজেই কাঁদতে কাঁদতে এসে আবার প্যাচাপ করে নেয়। আর বলে
জারাঃ- (কাঁদতে কাঁদতে) তুই একটা কুত্তা হারামি। অভিমানের ভাষাটাও বুঝতে পারিস না। বুঝে গেছিস তোকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না। আবার তোর কাছেই ফিরে আসবো। তাই আমার অভিমানের কোনো গুরুত্ব তোর কাছে নেই। সত্যি সত্যি যে দিন ব্রেকআপ করবো সেই আর ফিরে আসবো না। তখন তুই আর কিছুতেই আমার অভিমান ভাঙাতে পারবি না।
ইমনঃ- সরি রে জান। ভুল হয়েছে আমার। এরপর থেকে সবসময় আমি তোর রাগ ভাঙাবো। তবুও তুই আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা কক্ষনও বলবি না। তুই যে আমার প্রান বায়ু। তুই না থাকলে আমি নিঃশ্বাস নিবো কি করে? প্লিজ আর কাঁদিস না।
জারাঃ- মনে থাকবে?
ইমনঃ- আলবত।এভাবে কেটে গেলো দুইটা বছর। আমারও অনার্স কমপ্লিট হয়েগেলো। গতোদুই দিন আগে আমার লাস্ট পরীক্ষা ছিলো। আমি বিছানায় শুয়ে আছি। আম্মু এসে আমার মাথা হাত রেখে বললো
সাফিয়াঃ- ইমন তোকে একটা কথা বলার ছিলো।
ইমনঃ- হ্যা বলো।
সাফিয়াঃ- তোর তো অনার্স শেষ হলো। এবার আমরা চাইছি তোর বৌকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসতে। আমি চাই না আমাদের বৌমা আর বাপের বাড়ী থাকুক।
ইমনঃ- মানে কি? বৌ ঘরে আনতে চাইছো মানে কি? আমি বিয়ে করলাম কবে?
সাফিয়াঃ- তোর যখন এক বছর বয়স তখন তোকে আমরা বিয়ে করাই। তোর বাবার এক বন্ধুর মেয়ের সাথে। এখন তোর শ্বশুর আমাদের বার বার করে বলছে তাদের মেয়েকে নিয়ে আসতে। তোর বাবা আর আমি দুজনে মিলে স্বীদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী শুক্রবার বৌমাকে আমাদের বাড়ী নিয়ে আসবো।
ইমনঃ- এই কথা তোমরা আগে কেনো বলো নি? আমি এই বিয়ে মানি না। পারবো না বাবার বন্ধুর মেয়েকে বৌ হিসেবে মেনে নিতে। কারন আমি একজনকে ভালবাসি।
সাফিয়াঃ- এই কথা বলে কোনো লাভ নেই। আর আমাকে না বলে তোমার বাবাকে বলো।
ইমনঃ- তাহলে বাবা আমাকে মেরে ফেলবে পারবো না বলতে।
সাফিয়াঃ- তাহলে বিয়ে মেনে নেও বাবা এতেই তোমার মঙ্গল। আমি গেলাম।
ইমনঃ- আমার বিয়ে করেছি অনেক আগেই এই কথা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো। এখন কি হবে। জারাকে আমি কি জবাব দিবো। জারাকে একটা ফোন করা দরকার।—হ্যালো জারা তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে।
জারাঃ- (কাঁদতে কাঁদতে) তোমার সাথে আমার কোনো কথা নেই। তুমি একটা বেইমান। তুমি একটা বিবাহিত ছেলে হয়ে আমার সাথে মিথ্যা ভালবাসা নাটকটা না করলেও পারতে। আজ তোমার সাথে সত্যি সত্যি ব্রেকআপ করলা। তোমাকে একদিন বলেছিলাম, যেদিন সত্যি সত্যি ব্রেকআপ করবো সেদিন তুমি বুঝবা। আজ সেই দিনটা। তুমি আমাকে আর কোনো দিন ফোন করবা না।
ইমনঃ- তুই কি করে জানলি আমি বিবাহিত?
জারাঃ- তোমার আম্মু ফোন করে বলেছে। রাখি ভালো থেকে।
ইমনঃ- জারা আমার মুখের উপর ফোনটা কেটে দিলো। আমার প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে। মন হচ্ছে বক্ষদেশ এখনি ভেঙে গুড়িয়ে যা। এমন একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে কখনো ভাবি নি। জারাও আমাকে কিছু বলার সুযোগ দিলো না।আজ শুক্রবার আজ আবার আমার নতুন করে বিয়ে। এই বিয়েতে আমার কোনো আগ্রহ নেই। ইচ্ছে করছে মরে যেতে। কিন্তু যার জন্য মরব সেই তো আমাকে বুঝলো না। আমি দুইটা ঘুমের ঔষধ খেয়ে নিলাম। টলোমলো পায়ে বিয়ের আসরে আসলাম। কাজী কবুল বলতে বললো, আমিও কবুল বলে দিলাম। চারপাশে কি হচ্ছে তা আমার মন মস্তিষ্কে কিছুই ঢুকছে না। বৌ নিয়ে বাসায় ফিরে আসলাম। আমি ফ্রেশ হয়ে কোনো রকম বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম। ঘুম যেনো আর একটু দেরি করলো না আসতে। আমি ঘুমিয়ে গেলাম ঘুমের গভীর সমুদ্রে।
জারাঃ- এই শালা উগান্ডা নাইজেরিয়া। পরে পরে ঘুমাচ্ছিস? ওঠ, ওঠ বলছি। লাথি কিন্তু একটা মারছি। এরপর কিন্তু কয়েকটা মারবো। ওঠ।
ইমনঃ- মনে হলো কেউ আমার নিতম্বের উপর দুমদুম করে লাথি মারছে। আমি ঘুম ঘুম চোখ একটুখানি মেলেছি, মনে হলো আমার সামনে জারা বৌ সেজে দাঁড়িয়ে আছে।আমি লাফ দিয়ে উঠে বসলাম। চোখ কয়েকবার কচলিয়ে আবার জারার দিকে তাকালাম। হ্যা সত্যি সত্যি জারা আমার সামনে দাড়িয়ে আছে। আমি স্বপ্ন দেখছি না তো?—–তুই এখানে কেনো?
জারাঃ- আমার শ্বশুর বাড়ী আমি থাকবো না তো কে থাকবে?
ইমনঃ- তোর শ্বশুর বাড়ী মানে?
জারাঃ- দেখি সর, আগে আমাকে বসতে দে। তারপর বলছি।
ইমনঃ- জারা বিছানায় উঠে আমার পাশে বসলো।
জারাঃ- এবার বলি। মিস্টার ইমন হলো আমার স্বামী। আমি তার বৌ মিসেস ইমন।
ইমনঃ- কেমনে কি?
জারাঃ- আমার জন্ম হওয়ার আগে, আমার আরো তিনজন ভাই বোন পৃথিবীতে এসেছিলো, কিন্তু তারা জন্ম হওয়ার সাতদিনের মাথায় মারা যেতো। বাবা এ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তা ছিলো। মাকে অনেক ডাক্তার দেখানো হয়। সাথে আমার ভাই বোনদেরও। কিন্তু কোনো কিছুতে কিচ্ছু হয় না। বাবা মা শেষ মেষ উপর না পেয়ে ফরিকের কাছে যায়। তখন ফকির বললো, এর পর যার জন্ম হবে তাকে সাতদিনের আগে বিয়ে দিয়ে দিন তাহলে সে বেচে থাকবে। আমার জন্ম হওয়ার পর আমার বাবা আর তোমার বাবা মিলে আমাদের বিয়ে দেয়। কথায় আছে না ঝড়ে কাক মরে ফকিরের ক্যারামতি বাড়ে। এখানে ব্যাপারটা হলো ঠিক তাই। বিয়ে হওয়ার পর আমিও বেচে গেলাম।
ইমনঃ- জারার কথা শুনে আমার প্রচন্ড রাগ হচ্ছে। আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম,——তুই তাহলে সবটা আগেই জানতিস?
জারাঃ- হ্যা জানতাম।
ইমনঃ- এবার আমার মেজাজটা পুরো গরম হয়ে গেলো। চমি জারা গলা চেপে ধরে বললাম,—–তুই যখন সবটাই জানতিস? তাহলে আমাকে এতো কষ্ট দেওয়ার মানে কি?
জারাঃ- আরে ছাড়ো আমার লাগছে। আগে আমার পুরো কথাটা তো শুনবা।
ইমনঃ- কি কথা?
Short Story
- অনুরাগে তুমি
- মিস্টার ক্ষেত
- দুষ্টু মিষ্টি প্রেম
- শুধু তোকেই চাই
- মিষ্টি প্রেমের গল্প
- ভালোবাসার কান্না
- অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তি
- ভার্সিটির রাগি মেয়ে যখন বউ
- মেডামের মেয়ে যখন বউ
- চাচাতো বোন এর সাথে প্রেম
জারাঃ- এতো জোরে কেউ গলা চেপে ধরে? শোনো, তুমি চার বছর আগে আমাকে প্রপোজ করেছিলে, সেদিন মা সবটা দেখেছে। তারপর মা আমাকে, তোমার আমার বিয়ের কথা বলে। আমাকে আমাকে আরো বলে এই সব কথা তোমাকে না বলতে। তাহলে তোমার লেখা পড়ায় ক্ষতি হবে। আর আমাকে তোমার যোগ্য হতে। তাই আমি কিচ্ছু বলিনি।
ইমনঃ- আমি মানলাম তোর বাবা আর আমার বাবা বন্ধু। কিন্তু তুই আমার সাথে নাটকটা করলি কেনো? তুই জানিস আমার কতোটা কষ্ট হয়েছে?
জারাঃ- এটা ছিলো তোমার ভালবাসার পরীক্ষা। আমি দেখতে চেয়েছিলেন তুমি আমাকে কতোটা ভালবাসো। আমার পরীক্ষায় তুমি পাস।
ইমনঃ- পরীক্ষা মারাও? আজ তোমার খরব আছে সোনা পাখি।
জারাঃ- এই আমার কাছে আসার আগে শ্রোতাদের বিদায় দেও। বাসর রাতে আমরা কি করবো তা তাদের জানিয়ে করবো?
কিছু গল্প অসমাপ্ত রইয়ে যায়ধন্যবাদ এতক্ষণ ধরে গল্পটি পরার জন্য
সমাপ্ত
Writer :- Amrin Talokder